বুধবার, ১৬ মে, ২০১২

রসুলুল্লাহ (সঃ)-এর প্রতি ইমান

প্রশ্ন ঃ রসুলুল্লাহ (সঃ) কি নুরের তৈরী? এভাবে বিশ্বাষ (ইমান) করা যাবে?

উত্তর ঃ রসুলুল্লাহ (সঃ) মাটির মানুষ ছিলেন, মায়ের গর্ভে বাপের ওরশে জন্ম নিয়েছেন
যদি কেহ রসুলুল্লাহ (সঃ)কে নুরের নবী মনে করে বিশ্বাষ (ইমান) করে তা হলে তার বিশ্বাষ (ইমান) ঠিক না

(হে নবী) তুমি বলো, আমি তো তোমাদেরই মতো একজন মানুষ, কিন্তু আমার ওপর (এ মর্মে) ওহী নাযিল হয় যে, তোমাদের মাবুদ হচ্ছেন একজন, অতএব, (হে মানুষ), তোমরা তাঁর এবাদতের দিকেই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাও এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো; আর দুর্ভোগতো মোশেরকদের জন্যে নির্ধারিত হয়েই আছে; সুরা হা মীম আছ-সাজদা, আয়াত=৬

ক্বাফ, মর্যাদাসম্পন্ন কোরআনের শপথ (অবশ্যই আমি তোমাকে রাসুল করে পাঠিয়েছি),
(এ কথা অনুধাবন না করে) বরং তারা বিস্ময়বোধ করে, তাদের নিজেদের মাঝ থেকে (কি করে) একজন সতর্ককারী (নবী) তাদের কাছে এলো, অতপর অবিশ্বাসীরা (এও) বলে, এ তো (আসলেই) একটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার: সুরা ক্বাফ, আয়াত-১, ২

তুমি তাদের (এ কথাগুলো) স্মরন করাতে থাকো। তুমি তো শুধু একজন উপদেশ দানকারী মাত্র; সুরা গাশিয়াহ, আয়াত-২১


 রসুলুল্লাহ (সঃ) আমাদের মত রক্ত মাংসের মানুষ, তিঁনি (সঃ) নূরের তৈরী না, শুধু পার্থক‌্য এতুটুকু তাঁর (সঃ) কাছে ওহি আসতো আর আমাদের কাছে আসেনা। তিঁনি (সঃ) যা শরিয়তের ব্যাপারে করতেন, বলতেন এবং মৌন সম্মতি দিতেন তা সব আল্লাহতায়ার কাছ থেকে ওহি আসতো (ওহী দুই প্রকার ১। ওহীয়ে মাতলু যা কোরাণ হিসেবে পরিচিত, ২। ওহীয়ে গায়রে মাতলু যা সহীহ হাদীস হিসেবে পরিচিত)। কিয়ামত পর্যন্ত তিঁনি (সঃ) এই পৃথিবীর মানুষ ও জ্বিন জাতির পথ প্রদর্শক। তাঁর (সঃ) দেওয়া পথ অনুযায়ী যারা চলে তারাই মুসলিম


অবশ্যই এ (কোরআন) হচ্ছে (হক বাতিলের) পার্থক্যকারী (চুড়ান্ত) কথা; সুরা আত-তারিক, আয়াত-১৩

নিশ্চয়ই এর চাইতে আর শক্ত দলিল আর কেউ দিতে পারবে?
যদি কেহ কোরান ও সহীহ হাদিস থেকে এর বিপরীতে কোনো দলিল পান তাহলে আমাকে দয়া করে জানাবেন ইন্-শা-আল্লাহ আমি আমার ইমান (বিশ্বাষ)কে ঠিক করে নিব

শর্ত ঃ কোরান ও রসুলুল্লাহ (সঃ)-এর সহীহ হাদিস হতে হবে এর বাইরে অন‌্য কারো কোনো কথা হবে না

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন