বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১২

আল্ট্র‌া মডার্ণ


আমরা আল্লাহকে ছাড়াও অন্যকে সেজদা দিতে ভালবাসি
আমরা রসুল (সঃ)কে ছাড়াও অন্যকে অনুসরণ করি
আমরা অ-ইসলামী কালচার গ্রহণ করেছি
আমরা আল্ট্র‌া মডার্ণ হয়েছি।

আমরা বর্তমানে সালাম দেওয়া ভুলে গেছি
আমরা মুসলিম, এই কালচার মডার্ণ
আমরা সর্ব প্রথম সালাম দেওয়া বাদ দিয়েছি
আমরা আল্ট্র‌া মডার্ণ হয়েছি।


আমরা হাই, হ্যালো ছাড়া কথা বলিনা
আমরা পর্দা করা ছেড়ে দিয়েছি  
আমরা ছোট্ট থেকে শিক্ষা পেয়েছি
আমরা আল্ট্র‌া মডার্ণ হয়েছি।

আমরা ভুলে গেছি অহংকার করা যায় না
আমরা ভুলে গেছি মানবতা আমাদের ধর্ম
আমরা শঠতার জাল বুনছি
আমরা আল্ট্র‌া মডার্ণ হয়েছি।

আমরা অসহায়ের পাশে দাড়াই না
আমরা মিথ্যা বদনাম করতে ছাড়িনা
আমরা কবর আযাবের ভয় কাটাতে পেরেছি
আমরা আল্ট্র‌া মডার্ণ হয়েছি।

বুধবার, ১৩ জুন, ২০১২

ওযু ও তায়াম্মুম-এর পদ্ধতি

সলাতের জন্য ওযু ফারয।

                                                             (তিরমিযী হাঃ ৭৫)
পানি না পেলে বা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে তায়াম্মুম করতে হবে। ওযু ও তায়াম্মুম আরম্ভ করার সময় বিসমিল্লাহ্ বলতে হবে।


ওযু করার নিয়ম ও দু'আ

প্রথমে বিসমিল্লাহ্ বলতে হবে। (তিরমিযী হাঃ ২৫)
তারপর তিনবার উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত উত্তমরূপে ধুতে হবে। তিনবার কুলি করতে হবে। তিনবার নাকে পানি দিয়ে (বাম হাত দ্বারা নাক ঝাড়তে হবে) অথবা কুলি করার জন্য নেয়া পানি থেকে অর্ধেক দিয়ে কুলি করে বাকী অর্ধেক নাকে দিলেও চলবে। তারপর তিনবার মুখমণ্ডল (তথা চুলের গোড়া থেকে থুতনীর নীচ ও উভয় কানের এবং চোখের কোণ পর্যন্ত) ধুতে হবে। দাড়ি থাকলে খিলাল করতে হবে। তারপর প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুতে হবে। তারপর মাথা এমনভাবে মাসাহ করতে হবে যে, হাতে নতুন পানি নিয়ে তা ঝেড়ে ফেলার পর উভয় হাতের আঙ্গুলের অগ্রভাগ একত্রে মিলিয়ে তা কপালের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ মাথা হাতের তালু দিয়ে মোছার উদ্দেশ্যে হাতের তালু (মাথার শেষ থেকে) কপাল পর্যন্ত সমস্ত মাথা মাসাহ করতে হবে। এবপর শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা কান এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা কানের পিঠ মাসাহ করে সব শেষে প্রথমে ডান পা ও পরে বাম পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত তিনবার (বাম হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলি দ্বারা খিলাল করে পায়ের আঙ্গুলগুলো) উত্তমরূপে ধুয়ে ফেলতে হবে। যাতে ওযুর কোন অঙ্গ শুকনা না থাকে।
এভাবে ওযু সম্পন্ন করতে হবে। (মিশকাত হাঃ ৩৬২, ৩৭২-৩৭৪, ৩৭৯, ৩৮২)

উল্লেখ্য ওযুর অঙ্গসমূহ দু'বার ও একবার করে ধোয়ার কথাও সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী হাঃ ১৫৪-১৫৫)


ওযু শেষে দু'আ


উচ্চারনঃ  আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওহদাহু লা-শারীকালাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাছুলুহু ।

অনুবাদঃ আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে , অল্লাহ ভিন্ন আর কেহই ইবাদতের উপযুক্ত নাই তিনি এক তাঁহার কোন অংশীদার নাই। আমি আরও সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বান্দা এবং তাঁহার প্রেরিত নবী।

উচ্চারনঃ আল্ল-হুম্মাজ 'আলনী মিনাততাওওয়া-বীনা ওয়াজ'আলনী মিনাল মুতাত্বহহিরীর।

অনুবাদঃ হে আল্লহ! আমাকে তাওবাহকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। (সহীহ তিরমিযী, মিশকাত হাঃ ২৮৯. ইরওয়া হাঃ ৯৬-এর আলোচনা দ্রঃ সনদ সহীহ, বুলূগুল মারাম হাঃ ৫৪)


ওযু ভঙ্গের কারণসমূহ

১। প্রস্রাব ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হলে

২। যে সকল কারণে গোসল ফারয হয় তা ঘটলে

৩। বমি হলে

৪। ঘুমিয়ে পড়লে

৫। উটের গোশত খেলে

৬। আবরণ ছাড়া যৌনাঙ্গে হাত স্পর্শ হলে

৭। সঙ্গাহীন হয়ে পড়লে

৮। মাইয়েতের গোসল দিলে

৯। মযী (পাতলা বীর্য) বের হলে ওযু নষ্ট হয়ে যায়।
(বুখারী হাঃ ১৭৭, মুসলিম হাঃ ৭৬, ৮০, ৮১, বুলূগুল মারাম হাঃ ৭০/১১, তিরমিযী হাঃ ৮১, ৮৪)

উল্লেখ্য, সলাত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত বের হলে (বুখারী হাঃ ১৩৪) এবং বিনা হেলানে তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে (তিরমিযী হাঃ ৭৭) বাতকর্মের গন্ধ বা শব্দ না হলে, সলাতবস্থায় নাপাকী লাগলে ওযু নষ্ট হয় না। (বুখারী হাঃ ১৭২)


তায়াম্মুমের নিয়ম

‌'বিসমিল্লাহ' বলে পাক-পবিত্র ধূলা-মাটিতে উভয় হাত একবার মেরে দু'হাতে ফুঁ দিতে হবে। তারপর প্রথমে মুখমণ্ডল ও পরে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত মুছতে হবে। এটাই তায়াম্মুম (বুখারী হাঃ ৩২৬, ৩২৭)

উল্লেখ্য ওযু ও তায়াম্মুম শেষে ওযুর দু'আ পড়তে হবে। ওযুর অংশ বিশেষ তিনবারের বেশি ধোয়া ঠিক নয়।

যদি কোন জুনুবী (নাপাক লোক যার উপর গোসল ফারয) অসুখের ভয় করে, কিংবা মরণের আশঙ্কা করে অথবা পিপাসার পানি ফুরিয়ে যাবার ভয় করে তাহলে সে তায়াম্মুম করতে পারে। (বুখারী হাঃ ৪৬৪)

যদি কেউ পানি না পায় এবং সলাত ছুটে যাবার ভয় থাকে তাহলে সে তায়াম্মুম করতে পারে। আল্লহ আমাদের সর্বাবস্থায় পবিত্রতা অবলম্বনের তাওফীক দান করুন। আমীন

সোমবার, ১১ জুন, ২০১২

পবিত্রতা সম্পর্কিত কতকগুলো জরুরী বিষয়

১। দুধ পানকারী ছেলে শিশু যদি শরীর কিংবা কাপড়ে প্রস্রাব করে ফেলে তবে তা ধোয়া আবশ‌্যক নয়। সে ক্ষেত্রে শুধু পানি ছিটিয়ে দিলেই পবিত্র হয়ে যায়। কিন্তু মেয়ে শিশু প্রস্রাব করলে ধোয়া ব্যতীত পবিত্র হয় না।
(তিরমিযী হাঃ ৫৭০)

২। বীর্য যুক্ত কাপড় ধোয়ার পরও যদি দাগ পড়ে থাকে তাহলে তাতে কোন ক্ষতি নেই।
(বুখারী হাঃ ২২৬)

৩। জুতায় নাপাকী লাগলে মাটিতে উত্তমরূপে ঘষলেই তা পবিত্র হয়ে যায়, অনুরূপ নাপাক জায়গা দিয়ে চলার কারণে যদি কোন মহিলার কাপড়ে নাপাকী লাগে সেক্ষেত্রে পবিত্র মাটির উপর দিয়ে চলার সময় কাপড়ের আঁচল মাটি স্পর্শ করলেই তা পবিত্র হয়ে যায়।
(মিশকাত হাঃ ৪৬৯)

৪। কোন জিনিসে নাপাকী লাগলে সে নাপাকী যুক্ত অংশটুকু উত্তমরূপে ধুয়ে দেয়াই যথেষ্ট। সম্পূর্ণ অংশ ধোয়া জরুরী নয়।
(তিরমিযী হাঃ ১১০)

৫। ঘুম থেকে জেগে উঠা ব্যক্তি ওযু করার পূর্বে প্রথমে তিনবার হাত ধুয়ে নিয়ে ওযুর পাত্রে হাত ঢুকাবে।
(মুসলিম হাঃ ৫৫৩, তিরমিযী হাঃ ১০৬)

৬। কোন পাত্রে কুকুর মুখ দিলে সে পাত্রটি সাতবার ধুতে হবে প্রথমে বা শেষে উত্তমরূপে মাটি দিয়ে ঘষে মেজে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে।
(তিরমিযী হাঃ ৮৮)

৭। বিড়ালের উচ্ছিষ্ঠ প্রবিত্র। সেহেতু বিড়ালের ব্যবহৃত পানি দিয়ে ওযু ও গোসল করা জায়িয।
(তিরমিযী হাঃ ৮৯)

৮। জুনুবী নাপাকী অবস্থায় কোন খাবার খেতে চাইলে ওযু করে নিতে হবে।
(তিরমিযী হাঃ ৫৭১)

৯। যে ঘরে কোন প্রাণীর ছবি ও কুকুর থাকে, সে ঘরে আল্লাহর রহমাতের মালাইকা (ফেরেশতা) প্রবেশ করে না।
(তিরমিযী হাঃ ২৭৪১)

১০। স্বামী-স্ত্রী একাধিকবার মিলনের ইচ্ছা করলে মধ্যবর্তী সময়ে লজ্জাস্থান ধৌত করে শুধু ওযু করলে চলবে।
(তিরমিযী হাঃ ১৩৬)

১১। প্রস্রাবের অসতর্কতার জন্যই ক্ববরে ভীষণ 'আযাব হয়। কাজেই প্রস্রাবজনিত নাপাকী থেকে সাবধান।
(বুখারী হাঃ ২১০)

১২। যে সকল জানোয়ারের গোশত খাওয়া হালাল, সে সমস্ত জানোয়ােরর প্রস্রাব-পায়খানা কাপড় বা শরীরে কিঞ্চিত লাগলে তাতে দোষ নেই। ধুয়ে নিলেই চলবে।
(তিরমিযী হাঃ ৪৮১)

শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১২

প্রাপ্তবয়স্কা মহিলাদের জন্য জানা একান্ত জরুরী

প্রাপ্তবয়স্কা নারীদের প্রত্যেক মাসেই কয়েক দিন করে স্বাভাবিকভাবে যে রক্তস্রাব হয় তাকে মাসিক বা হায়িয বলে। কত বছর বয়সে এই রক্তস্রাব আরম্ভ হবে হাদীসে তার কোন বিবরণ নেই। মেয়েদের যৌবনের সর্বপ্রথম যে কয় দিন রক্তস্রাব হয় সেই কয় দিনকেই হায়িযের সময়সীমা ধরে নিতে হবে।

আর যদি তার প্রথম যৌবনে যে কয়দিন হায়িয হয়েছিল পরের সময়গুলিতে তার পূর্ব দিনগুলো ছাড়িয়ে যায় তবে পূর্বের হিসাবের দিন বাদ দিয়ে অতিরিক্ত দিনগুলোতে গোসল করে সলাত আদায় করতে হবে। (তিরমিযী হাঃ ১২৩)

মেয়েদের প্রথম যৌবনে কতদিন স্রাব হয়েছিল তা যদি মনে না থাকে তবে তারা ৬ অথবা ৭ দিন হায়িয ধরে নিয়ে অবশিষ্ট দিনগুলিতে গোসল করে সলাত আদায় করবে। (মিশকাত হাঃ ৫১৬)

যে কয়দিন হায়িয থাকবে সে দিনগুলোর সলাত মাফ, কিন্তু হায়িয অবস্থায় রমাযানের সিয়াম (রোযা) না রেখে অন্য মাসে তা আদায় করতে হবে। (মুসলিম হাঃ ৬৬৯)

হায়িয (মাসিক) অবস্থায় যে সকল কাজ নিষিদ্ধঃ
১। কুরআন মাজীদ স্পর্শ ও তিলাওয়াত করা,
২। বিনা গিলাফে কুরআন মাজীদ স্পর্শ করা
৩। সলাত আদায় করা
৪। সিয়াম (রোযা) পালন করা
৫। সাজদায়ে শুকর করা
৬। সাজদায়ে তিলাওয়াত আদায় করা
৭। সহবাস করা

××× তবে দু'আ পাঠ করা জায়িয

                                          (সিহাহ সিত্তাহ)

আল্লাহতা'আলা বলেন ঃ সুতরাং তোমরা রক্তস্রাবকালে স্ত্রী-সঙ্গম বর্জন করবে এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী সঙ্গম করবে না; সুরা বাক্কারাহ-২২২

হায়িয অবস্থায় হালাল জেনে সহবাস করা কুফরী কাজ। (মিশকাত হাঃ ৫০৬)

হায়িযের প্রথম অবস্থায় (যখন লাল রক্ত দেখা যায়) সহবাস করলে সাড়ে চার আনা ও শেষ অবস্থায় (যখন হলদে রক্ত দেখা যায়) সহবাস করলে সোয়া দুই আনা পরিমাণ স্বর্ণ অথবা ঐ পরিমাণ স্বর্ণের দাম কাফ্ফারা দিতে হবে। (তিরমিযী হাঃ ১৩২)

নিফাস
স্ত্রীলোকের সন্তান প্রসবের পর যে রক্তস্রাব হয় তাকে নিফাস বলে। নিফাসের সর্বোচ্চ সময়সীমা ৪০ (চল্লিশ) দিন আর কমের কোন সীমা নেই।

যখনই রক্তস্রাব বন্ধ হবে গোসল করে সলাত আদায় এবং সিয়াম পালন করতে হবে। নিফাস বন্ধ হবার পরও ৪০ দিন পুরো করার উদ্দেশ্যে সলাত ও সিয়াম বাদ দিলে শক্ত গুনাহগার হতে হবে। (আইনী তুহফা সলাতে মুস্তফা ১ম খন্ড ৬০ পৃষ্ঠা)

হায়িযের অবস্থায় যা নিষিদ্ধ নিফাসের অবস্থাতেও সে সব নিষিদ্ধ।

ইসতিহাযা (প্রদর)
হায়িয ও নিফাসের সময় অতিক্রান্ত হবার পরও যে রক্তস্রাব হতে থাকে তাকেই আরাবী ভাষায় ইসতিহাযা বলে। বাংলা ভাষায় তাকে প্রদর রোগ বলা হয়।

মুস্তাহাযা (যার ইসতিহাযা "প্রদর" বা "দৃষ্টি রোগ" হয়েছে) স্ত্রীলোক পবিত্র স্ত্রীলোকের মত।

হায়িযের ক্ষেত্রে যৌবনের প্রথম হায়িযকাল, কিংবা তা মনে না থাকলে ৬/৭ দিন এবং নিফাসের ক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের পর শরীরের অঙ্গ বিশেষ হতে রক্ত ধুয়ে ফেলে গোসল করে সলাত ইত্যাদি সমাধা করবে। (তিরমিযী হাঃ ১২৩)

যার ইসতিহাযা হয়েছে সে এক গোসলে যুহর ও আসর একত্রে, মাগরিব ও ইশা একত্রে আর এক গোসলে ফাজরের সলাত আদায় করবে এবং সে অবস্থায় সিয়ামও (রোযা) রাখতে পারবে। (মিশকাত হাঃ ৫১৬)

প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের যা জানা জরুরী

প্রসাবের রাস্তা দিয়ে প্রস্রাব ছাড়াও আরো তিন রকম তরল পদার্থ বের হয়- যাকে আরবীতে মনী, মযী ও অদী বলে। এই তিনটির মধ্যে মযী ও অদী বের হলে গোসল ফারয হয় না। বরং প্রস্রাবের রাস্তা এবং শরীরের কোন জায়গায় বা কাপড়ে ঐ পদার্থ লাগলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। ওযু অবস্থায় হলে ওযু নষ্ট হয়ে যাবে।

১। মযী ঃ যৌন উত্তেজনার সময় বিনা বেগে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে সাদা আঠা যুক্ত যে পানি বের হয় তাকেই মযী বলে। কখনো বিনা অনুভুতিতেও এই পানি বের হয়। সাধারণতঃ যুবক ও শক্তিশালী লোকদের যৌন উত্তেজনার সময় এটা বের হয়। এই মযী সম্বন্ধে রসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন ঃ এর জন্য ওযু যথেষ্ট-(মুসলিম হাঃ ৬০৩) আর কাপড়ে লাগলে যেখানে লাগবে সেখানে এক আঁজলা (দুই হাতের তালু) পানি দিয়ে ধুয়ে দাও-(তিরমিযী হাঃ ১১০) এবং লিঙ্গটাও ধুয়ে ফেল-(মুসলিম হাঃ ৬০২)

২। অদী ঃ প্রস্রাবের পূর্বে কিংবা পরে যে গাঢ় সাদা পানি বের হয় তাকে অদী বলে। অদী সম্পর্কে "আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেনঃ প্রসাবের পর অদী বের হলে লিঙ্গ ও অন্ডকোষ দু'টি ধুতে হবে এবং ওযু করতে হবে। গোসল করতে হবে না। ইবনু 'আব্বাসও তাই বলেন। (বাইহাকী ১ম খন্ড ১১৫ পৃষ্ঠা ও ইবনুল মুনযির, ফিকহুস সুন্নাহ ১ম খন্ড ২৬ পৃষ্ঠা বরাতে আইনী তুহফা সলাতে মুস্তফা ১ম খন্ড ২০-২১ পৃষ্ঠা)

৩। মনী ঃ উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে লম্ফ দিয়ে যে তরল পদার্থ পেশাবের রাস্তা দিয়ে বের হয় তাকে মনী বা বীর্য বলে। বীর্য যদি কোনরূপ বৈধ বা অবৈধ উপায়েও 'সবেগে' বের হয় তাহলে গোসল ফারয হয়। (তিরমিযী হাঃ ১০৯)

বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১২

নাপাকী থেকে পবিত্র হওয়ার সঠিক নিয়ম জানুন এবং ক্ববর আযাব থেকে বাঁচুন

পবিত্রতার নির্দেশ

সলাতের জন্য পবিত্রতা অর্জন করা ফা্রয; সুরা আন-নিসা ৪৩
অপবিত্র শরীরে, কাপড়ে ও বিছানা পত্রে সলাত হয় না; মিশকাত হাঃ ২৬২

যেসব কারণে শরীর নাপাক হয় এবং গোসল ফারয হয়

১। সহবাস করলে
২। স্বপ্নদোষ হলে
৩। স্বপ্নের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক শরীরে, কাপড়ে বা বিছানায় বীর্যের চিহ্ন দেখতে পেলে
৪। স্বামী-স্ত্রীর মিলন হলে বীর্যপাত হোক বা না হোক
৫। এছাড়া মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাব (হায়িয) বন্ধ হলে
৬। নিফাস (সন্তান প্রসবের পার যে রক্তস্রাব হয়) বন্ধ হলে
৭। স্ত্রী-পুরুষ কারও উত্তেজনার সাথে বীর্য বের হলে ফারয গোসল ছাড়া সলাত হবে না।

উল্লেখ্য, কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে, মুর্দাকে গোসল দিলে এবং জুমু'আর সলাতের জন্য গোসল করা সুন্নাত। (মিশকাত হাঃ ৪১৫, ৪১৯, ৪২১)