►“ঐ ব্যক্তির চেয়ে আর কার কথা উত্তম হতে পারে যে আল্লাহর পথে আহবান করে এবং সৎ আমল করে। আর বলে নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্গত।” (সূরা ফুছ্ছিলাত: ৩৩) ► শিরক এবং বিদাআত নির্মূল করা ► ইসলামের ব্যপারে সমস্ত ভুল ধারনা দূর করা ► পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ভিন্ন বিশ্বাসের মানুষের সাথে সেতুবন্ধন তৈরি করা ও তাদের ইসলামের দিকে আহবান করা ► তাওহীদের ছায়াতলে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করা ► ঈমান ও আমলের মাধ্যমে মানুষকে একটি ‘সুন্দর জীবন’ গড়তে সাহায্য করা।
বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১২
শনিবার, ১৯ মে, ২০১২
আল্লাহর প্রতি ইমানের প্রশ্ন
বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১২
একতাবদ্ধ
পৃথীবির সর্ব শ্রেষ্ঠ বই যদি থেকে থাকে তা কোরান
কোরান ও সহীহ হাদীস বাংলা অনুবাদ হয়ে গেছে আমরা যদি নিরপেক্ষ অন্তর নিয়ে পড়ি (আমাদের দেশের খুব বড় বড় আলেম ওলামারাই অনুবাদ করেছেন) তা হলে আমাদের ভিতরে মতভেদ দেখা দিত না
মুসলিমদেরকে আল্লাহতায়ালা একতাবদ্ধ থাকতে বল্লেন (সুরা আল ইমরানের ১০৩ আয়াত) কিন্তু মুসলিমরা একতাবদ্ধ নেই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গেছে কেন?
অধিকাংশ মুসলিম ইসলাম সম্বন্ধে কোরান ও সহীহ হাদীস না পড়ার কারনে না জানার কারনে...
কোরান ও সহীহ হাদীস বাংলা অনুবাদ হয়ে গেছে আমরা যদি নিরপেক্ষ অন্তর নিয়ে পড়ি (আমাদের দেশের খুব বড় বড় আলেম ওলামারাই অনুবাদ করেছেন) তা হলে আমাদের ভিতরে মতভেদ দেখা দিত না
মুসলিমদেরকে আল্লাহতায়ালা একতাবদ্ধ থাকতে বল্লেন (সুরা আল ইমরানের ১০৩ আয়াত) কিন্তু মুসলিমরা একতাবদ্ধ নেই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গেছে কেন?
অধিকাংশ মুসলিম ইসলাম সম্বন্ধে কোরান ও সহীহ হাদীস না পড়ার কারনে না জানার কারনে...
ভয়ঙ্কর আমল বিদআত
বিদআত শব্দের আবিধানিক অর্থ নতুন সৃষ্টি। ইবাদতের উদ্দেশ্যে সওয়াবের আশায় যা পালন করা হয় অথচ শরিয়তে এর কোন অস্তিত্ব নাই ইসলামের পরিভাষায় তাকে বিদআত বলা হয়। অর্থাৎ বিদআত হচ্ছে ঐ সব আমল যা আল্লাহর রাসুল (সঃ) কখনোই করেন নি এবং তাঁর সাহাবাগণও ।
আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন, আমাদের এই দ্বীনে যে কেউ নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে তা প্রত্যাখ্যান করা হবে। (সহি বুখারী ২৬৯৭, সুনানে আবু দাউদ ৪৬০৭)
আগুন যেমন কাঠকে খেয়ে ফেলে বিদআত তেমনি সমস্ত আমলকে নষ্ট করে ফেলে। যেমন, আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেন, আল্লাহ্ তায়ালা কোন বিদআতীর সিয়াম, সালাত, সদকা, হজ্জ, ওমরাহ, জিহাদ, টাকা পয়সা বিনিময় মূল্য কিছুই কবুল করবেন না। এবং ইসলাম হতে ঐ ব্যক্তি এমন ভাবে বের হয়ে যাবে যেমন আটার খামীরের মদ্ধ্যে হতে চুল পরিষ্কার ভাবে বের হয়ে আসে। (ইবনে মাজাহ্) বিদআতী ব্যক্তি কখনো আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ লাভ করে না। কারন, বিদআতকারী তার বিদআতী আমলগুলোকে সওয়াব মনে করে পালন করে যায়, কখনোই সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় না।
আমাদের সমাজে যে বিদআতগুলো চালু আছে তার কিছু হল ফরজ নামাজের পরে সম্মিলিত মুনাজাত,মিলাদ, কিয়াম, চল্লিশা, সফিনা খতম, পীর ধরা, মৃত ব্যক্তির কাছে চাওয়া অর্থাৎ মাজার পূজা, কবর পূজা, খাজা বাবা, লেংটা বাবা ইত্যাদি বাবার অনুসরণ করা, তাবিজ কবচ ব্যবহার ও কুফুরী কালামে ঝাড়ফুক করা।
জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সঃ) যখনই খুৎবা দিতেন বলতেন, নিশ্চয় সর্বত্তম কথা হল আল্লাহর কিতাব, আর সর্বত্তম হিদায়াত হল রসুলুল্লাহ্ (স) এর হিদায়াত, সর্ব নিকৃষ্ট বিষয় হলো নব প্রবর্তিত বিষয় বিদআত, এরূপ প্রতিটি বিদআতই পথভ্রষ্টতা। (সহি মুসলিম ২০৪২, সুনানে নাসাই ১৫৭৭,মুসনাদে আহমদ ১৪৩৩৪)
বিদআতের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিনতি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, যখন কোন জাতি তাদের দ্বীনের মদ্ধ্যে বিদআত প্রবেশ করায় তখন আল্লাহতায়ালা সেখান থেকে ঐ পরিমান সুন্নাত উঠিয়ে নেন যা কিয়ামত পর্যন্ত আর ফিরে আসে না। অতঃপর সুন্নাতে রাসুল (সঃ) কে খুবই শক্ত করে ধারণ করা বিদআত জন্ম দেওয়ার চাইতে অতি উত্তম (আহমাদ)। এর বাস্তব প্রমান হল ফরজ সালাতের পর সম্মিলিত মুনাজাত। আপনি যদি কাউকে জিজ্ঞেস করেন রাসুল (সঃ) ফরজ সালাতের পর কি আমল করতেন সে বলতে পারবে না।
মিশকাত শরীফের হাদিসে এসেছে আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন বিদআতিকে সালাম অথবা সম্মান প্রদর্শন করল সে যেন ইসলামকে ধ্বংশ করার কাজে সহযোগিতা করল।
প্রিয় বন্ধুগণ, আসুন আমরা ইসলামকে ধ্বংশ না করে ইসলামকে পূনরুজ্জিবীত করার জন্য, পূর্নাঙ্গ ইসলাম পাওয়া ও পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার জন্য কোরআন ও সহি হাদিসের অনুসরন করি।
যে বিদআত গুলোর কারনে সেখান থেকে যে সুন্নাত বিলুপ্ত হয়ে গেছে সে সুন্নাত গুলো পূনরায় চালু করি। রাসুল (সঃ) বলেন, আমার উম্মতের মদ্ধ্যে ফাছাদ এবং মতভেদের সময় যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে শক্ত ভাবে ধরে রাখবে তখন তাঁর ওই সুন্নতের উপরে আমল করার কারণে একশত শহীদের সওয়াব পাবে (বায়হাকী তারগীব)।
সুবহানাল্লাহ,কোরআন ও হাদিস থেকে জানা যায় একজন শহীদ ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে চলে যায়। আমরা কি পারিনা মৃত সুন্নাত গুলো জীবিত করে সেই সওয়াব অর্জন করতে?
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এই ভয়ঙ্কর বিদআত সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার তাওফিক দান করুন।
-আমীন
বুধবার, ১৬ মে, ২০১২
ইসলামের ভিতরে নতুন নতুন এবাদত
বিদআত কি?
শারিয়াতের পরিভাষায় কোরআন ও সহীহ হাদিসে নাই কিন্তু সমাজে কিছু এবাদত চালু আছে এইসব নতুন এবাদতকে (যে এবাদত গুলো আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল (সঃ) থেকে আসেনি, সুবিধাবাদী কিছু আলেম নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ইসলামের ভিতরে চালু করে) বিদআত বলে। যেমন ঃ-
মাযহাব মানা/মুসলিমদের ভিতরে দলাদলি করা
শবে বরাত পালন করা
শবে মেরাজ পালন করা
লাইলাতুল কদর (শেষের দশদিন বাদ দিয়ে) নির্দিষ্ট একটি রাত এবাদত করা
ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী/নবীর (সঃ) জন্মদিন পালন করা
মিলাদ
বাৎসরিক/সিজেনিয়াল ওয়াজ মাহফিল করা
ওজুর ভিতরে সম্পূর্ন মাথা মাসেহ না করা ও ঘাঢ় মাসেহ করা
রসুলুল্লাহ্ (সঃ)-এর সহীহ হাদিসের বিপরীতে সলাত আদায় করা
সলাত শেষে সম্মিলিতভাবে দুইহাত তুলে দু’য়া করা
বিশ রাকআত তারাবীহ্ সলাত আদায় করা
আখেরী চাহার সোম্বা
ছাবিনা খতম
কোরাণ খতম করে বকসে্ দেওয়া
মৃতু ব্যক্তির কাছে বসে কোরাণ খতম করা
মৃতু ব্যক্তির নামে চল্লিশা পালন করা
পীর/ফকির/সুফি/দরবেশ পূজা করা
মাযার/কবর/দরগাহ পূজা করা
ওরশ্ করা
মাদ্রাসায় শিক্ষা নিয়ে টাইটেল (মাওলানা, মুফতি ইত্যাদি) নেওয়া
ইত্যাদি, ইত্যাদি-
রাসুল তোমাদের যা কিছু (অনুমতি) দেয় তা তোমরা গ্রহন কর, এবং সে যা কিছু নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাকো;
সুরা-হাশর, আয়াত-৭
শারিয়াতের পরিভাষায় কোরআন ও সহীহ হাদিসে নাই কিন্তু সমাজে কিছু এবাদত চালু আছে এইসব নতুন এবাদতকে (যে এবাদত গুলো আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল (সঃ) থেকে আসেনি, সুবিধাবাদী কিছু আলেম নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ইসলামের ভিতরে চালু করে) বিদআত বলে। যেমন ঃ-
মাযহাব মানা/মুসলিমদের ভিতরে দলাদলি করা
শবে বরাত পালন করা
শবে মেরাজ পালন করা
লাইলাতুল কদর (শেষের দশদিন বাদ দিয়ে) নির্দিষ্ট একটি রাত এবাদত করা
ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী/নবীর (সঃ) জন্মদিন পালন করা
মিলাদ
বাৎসরিক/সিজেনিয়াল ওয়াজ মাহফিল করা
ওজুর ভিতরে সম্পূর্ন মাথা মাসেহ না করা ও ঘাঢ় মাসেহ করা
রসুলুল্লাহ্ (সঃ)-এর সহীহ হাদিসের বিপরীতে সলাত আদায় করা
সলাত শেষে সম্মিলিতভাবে দুইহাত তুলে দু’য়া করা
বিশ রাকআত তারাবীহ্ সলাত আদায় করা
আখেরী চাহার সোম্বা
ছাবিনা খতম
কোরাণ খতম করে বকসে্ দেওয়া
মৃতু ব্যক্তির কাছে বসে কোরাণ খতম করা
মৃতু ব্যক্তির নামে চল্লিশা পালন করা
পীর/ফকির/সুফি/দরবেশ পূজা করা
মাযার/কবর/দরগাহ পূজা করা
ওরশ্ করা
মাদ্রাসায় শিক্ষা নিয়ে টাইটেল (মাওলানা, মুফতি ইত্যাদি) নেওয়া
ইত্যাদি, ইত্যাদি-
রাসুল তোমাদের যা কিছু (অনুমতি) দেয় তা তোমরা গ্রহন কর, এবং সে যা কিছু নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাকো;
সুরা-হাশর, আয়াত-৭
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)